বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ঝুট কাপড় উৎপাদন করে। এ খাত থেকে প্রতিবছর ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করা সম্ভব।
ডলার-সংকটে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হচ্ছিল আগে থেকেই। ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সমস্যাও। জুলাই অভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যুক্ত হয়েছে নতুন সমস্যা—ব্যাংকঋণের সুদহার বৃদ্ধি ও শ্রমিক অসন্তোষ। সব মিলিয়ে চতুর্মুখী সংকটে পড়েছে দেশের উৎপাদন খাত। এতে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন, বাড়ছে বন্ধ ক
ভারতের বিমানবন্দর ও নৌবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। এর পরিবর্তে এখন মালদ্বীপের মাধ্যমে গার্মেন্ট পণ্য বিশ্বব্যাপী পৌঁছানো হচ্ছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ পোশাক রপ্তানিকারক দেশের এ পদক্ষেপে ভারতের বিমান ও নৌ বন্দরগুলো বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। গত শন
বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও ক্রয়াদেশ বা বায়না বাতিল করেনি বিশ্বের অধিকাংশ পোশাক ক্রেতা। মার্কিন গবেষণাপ্রতিষ্ঠান বিজনেস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস রিসোর্স সেন্টারের (বিএইচআরআরসি) জরিপ অনুসারে, ২০টি ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১২টি আন্তর্জাতিক ক্রেতা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ক্রয় অব্যাহত রেখেছে।
ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বাড়তে থাকলেও বিশ্ব বাণিজ্যে দেশটির অংশ আশানুরূপ বাড়ছে না। বিশ্বব্যাংক বলছে, দেশটি রপ্তানিমুখী উৎপাদনে বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের মতো কম খরচে উৎপাদনকারী দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে পোশাক, চামড়া, টেক্সটাইল ও ফুটওয়্যার পণ্য রপ্তানিতে
যথাযথ নীতি সহায়তা এবং অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে দেশের তৈরি পোশাক খাত প্রতিযোগী দেশগুলোকে ছাড়িয়ে বিশ্ববাজারে শীর্ষস্থান দখল করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। এজন্য সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ব্যবসায়ীরা নেতারা।
বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের রপ্তানিমুখী উৎপাদনের বড় একটি অংশ চলে যেতে পারে ভারতে। এমনটাই আশা প্রকাশ করেছেন দেশটির অন্যতম পোশাক শিল্প গোষ্ঠী রেমন্ডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সিএমডি) গৌতম সিংহানিয়া। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার
পুরোনো ক্রয়াদেশের পণ্য সরবরাহ করতে বাংলাদেশের গার্মেন্টস ও ফুটওয়্যার শিল্প আবারও পুরোদমে কাজে লেগে গেছে। শ্রমিকেরাও অতিরিক্ত কাজ করছেন। তারপরও বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে আপাতত ক্রয়াদেশ স্থগিত রেখেছেন সাময়িকভাবে। আর এর প্রভাব গিয়ে পড়েছে ভারতেও। বাংলাদেশে দেশটির তুলা রপ্তানি কমে যেতে শুরু করেছে
চীনের পর বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। ভারতের অবস্থান শীর্ষ তিনে না থাকায় দেশটির পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থানে আসা খুব একটা সহজ হবে না। বিশেষ করে বাংলাদেশকে পাশ কাটাতে হলে ভারতকে অবশ্যই বাংলাদেশসহ অন্য অনেকগুলো দেশকে ছাড়িয়ে আসতে হবে
বিগত তিন দশকে বিশ্ব দরবারে উল্লেখ করার মতো ইতিবাচক অনেক কিছুই অর্জন করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে মুছে ফেলে একনায়কতান্ত্রিক শাসনের জন্যও কুখ্যাতি পেয়েছি। ২০১৪, ২০১৮ ও সবচেয়ে কুখ্যাত ২০২৪ সালের পাতানো নির্বাচন ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ সালের প্রাণবন্ত নির্বাচনের কৃতিত্বকে ম্লান কর
বাংলাদেশের ২০২৩ সালের পোশাক রপ্তানি আয়ে ৯ বিলিয়ন তথা ৯০০ কোটি ডলারের গরমিল আছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)। বিশ্ব বাণিজ্যের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো পোশাক রপ্তানির বিষয়ে যে তথ্য দিয়েছিল প্রকৃত রপ্তানি তার চেয়ে ৯০০ কোটি ডলার কম
বকেয়া টাকার দাবিতে নরসিংদীর শিবপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন আদুরী গার্মেন্টস নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। আজ রোববার উপজেলার কারারদী (বড়ইতলায়) ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ বিক্ষোভ করা হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) সড়ক অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকেরা।
আরও দুটি তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান পেয়েছে পরিবেশবান্ধব সবুজ কারখানার সনদ। নতুন যোগ হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে দেশে সবুজ কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২২০টি। গতকাল বুধবার তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এ তথ্য জানিয়েছে।
রপ্তানির বিপরীতে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের মতো শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতি বিজিএমইএ। এছাড়াও পোশাক খাতের পণ্য ও সেবায় শুল্কছাড়, প্রণোদনা অব্যাহত রাখা এবং এর কর হ্রাস করাসহ ৭ দফা দাবি জানানো হয়
দেশে তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর আশপাশের জলাশয়ে প্রতিনিয়ত মিশছে বিপজ্জনক রাসায়নিক। রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের নদী, খাল, বিল, এমনকি ট্যাপের পানিতেও এসব রাসায়নিক পাওয়া গেছে। মানব ও প্রাণিস্বাস্থ্য এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এসব রাসায়নিক এতটাই ভয়ানক যে এগুলো ভাঙে না। শতকের পর শতক একই অবস্থায় থেকে যায়। এগুলোর
খরচের চাপ বাড়ছে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পে। কখনো কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধি, কখনো গ্যাস, জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির মতো এ রকম ঘটনা এই খাতকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সর্বশেষ যোগ হয়েছে ঋণের সুদহারের খড়্গ। অথচ এর বিপরীতে পোশাকের কাঙ্ক্ষিত ক্রয়াদেশ আসছে না। আবার মিলছে না পণ্যের ভালো দামও। পাশাপাশি
ইউরোপ-আমেরিকায় মাত্র ৯ ডলারে ডেনিম জিন্স প্যান্ট বিক্রি করে শি-ইন। এতো সস্তায় আড়ম্বরপূর্ণ ফাস্ট ফ্যাশন বাজারে ছেড়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বজোড়া পোশাক রপ্তানিকারকদের জন্য উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে চীনা রিটেইলারের আগ্রাসী বাজার কৌশল ।